প্রথম আলো-বন্ধুসভার পক্ষ থেকে গুণীজন সম্মাননা

Spread the love

প্রযুক্তিভিত্তিক পাঠাগার গড়ে বই পড়িয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আলোর ফেরী পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা জনাব বাবুল মৃধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। গত ৯ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে প্রথম আলোর ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বন্ধুসভা কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা প্রদান হয়।

বাবুল মৃধা ২০১৫ সালে তার নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করেন বাংলাদেশের প্রথম সাশ্রয়ী অ্যাপ ভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ ডিজিটাল মডেল পাঠাগার: আলোর ফেরী পাঠাগার। উক্ত পাঠাগারের আলোর ফেরী নামে একটি অ্যাপ রয়েছে। যেখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠাগারের বই, পাঠক ও অর্থ ব্যবস্থাপনা সহ পূর্ণ ব্যবস্থাপনা করা যায়। অ্যাপটিতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সুবিধা থাকায় খুব সহজেই পাঠক ও পাঠাগারের মধ্যে বন্ধন তৈরিতে সাহায্য করে। অ্যাপটি যেকোন পাঠাগারের বইয়ের ক্যাটালগ হিসেবে কাজ করে ফলে পাঠক যেকোনো স্থান থেকে অ্যাপের মাধ্যমে পাঠাগারের বই ও পাঠক সহ যাবতীয় তথ্য জানতে পারে। পাঠক তার পছন্দের বইটি খুঁজে পড়তে চেয়ে অনুরোধ পাঠাতে পারে। অতঃপর পাঠাগার নিজ ব্যবস্থাপনায় পাঠকের কাছে বইটি পৌঁছে দেয় এবং পড়া শেষে ফেরত নেয়। পাঠাগার কর্তৃপক্ষ জানতে পারে কতগুলো বই পাঠকের কাছে রয়েছে। কোন পাঠকের কাছে কি বই রয়েছে এবং কখন ফেরত দিবে ইত্যাদি।

পাঠাগারটি গত ৬ বছর যাবত নিজ এলাকায় ও নিকটবর্তী স্কুলে সুনামের সাথে বই পড়ার কার্যক্রম সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। পাঠাগারটি থেকে বই পড়ার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনার স্পৃহা বেড়েছে। পাশাপাশি বক্তৃতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ নানা রকম প্রতিযোগিতার আয়োজনের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো কাজে উৎসাহ বেড়েছে। 

আলোর ফেরী অ্যাপটি যেকোন পাঠাগার ব্যবস্থাপনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলোর ফেরী অ্যাপে ৭০ টির অধিক পাঠাগার যুক্ত হয়ে তাদের পাঠাগার ব্যবস্থাপনার কাজ পরিচালনা করছেন। তার এই বিশেষ অবদানের জন্য প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তাকে এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।

Scroll to Top